আদমদীঘি (বগুড়া) থেকে: বগুড়ার আদমদীঘিতে মেহের নিগার সোহাগী (২০) নামের এক গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। গৃহবধুর মৃত্যু নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্যে। নিহতের শ্বশুর বাড়ির লোকজন প্রচার করে বিষ খেয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এদিকে হাসপাতালে নেয়ার পথে ওই গৃহবধু মারা গেলে কৌশলে তার লাশ শ্বশুরালয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় স্বামীসহ স্বজনরা। এ ঘটনায় গৃহবধূর বাবা বাদী হয়ে থানায় করেছেন হত্যা মামলা। গত বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় আদমদীঘি উপজেলার কালাইকুড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কালাইকুড়ি গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে নাদিম প্রামানিকের সাথে সদর ইউনিয়নের শিবপুর গ্রামের খোকনের মেয়ে মেহের নিগার সোহাগীর প্রায় তিন বছর পূর্বে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে নানা অজুহাতে সোহগীকে তার স্বামীসহ শশুর বাড়ির লোকজন মানসিক ও শারীরিক ভাবে নির্যাতন করতো।
এদিন সকালে পারিবারিক কলহের জেরধরে গৃহবধু মেহের নিগার সোহাগীকে তার ননদ হোসনে আরা আবারো মানসিক ও শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে। ফলে মেহের নিগার সোহাগী অসুস্থ হয়। দুপুরে ওই গৃহবধু বিষপান করেছে বলে তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন প্রচার করে তাকে অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে আদমদীঘি হাসপাতালে ও পরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া পথে মারা যায়। এরপর তার লাশ কৌশলে ফিরে কালাইকুড়ি গ্রামে শ্বশুরালয়ে রেখে স্বামী ও তার স্বজনরা পালিয়ে যায়। সন্ধ্যায় বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রামবাসী এসে মেহের নিগার সোহগীর পিত্রালয় ও পুলিশে খবর দেন।
নিহত মেহের নিগার সোহাগীর মা নাজমা বিবি জানায়, তার মেয়েকে তার ননদ ও শশুর বাড়ির লোকজন শারীরিক ভাবে নির্যাতন করে হত্যা করেছে।
এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম রেজা নিহতের স্বামীসহ তার পরিবারের কাউকে না পাওয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় ওই গৃহবধু মেহের নিগার সোহাগীর বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তবে ময়না তদন্ত রির্পোট না পাওয়া পর্যন্ত মৃত্যুর প্রকৃত কারন বলা যাচ্ছে না।